“Education is not Preparation of life, rather it is living” শিক্ষা শুধু জীবন প্রস্তুতির উপায় নয়, তা জীবন-যাপনের প্রণালীও বটে। শিক্ষাকে জীবনব্যাপি অনুসরণীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে এবং অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা লাভের স্বাভাবিক কৌশল হিসেবে বিবেচনায় রাখতে হবে। আধুনিক শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিসত্তা বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবোধ জাগ্রত করা এবং তাকে আত্মসত্তার আস্থাবান করে তোলাই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
ঐতিহ্যবাহী চর শামসুদ্দিন জাহেরীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা খানা ০১/০১/১৯৭৫ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। জৈনপুর খানদানি পীর জনাব হযরত মাওলানা আব্দুল জাহের সাহেবের মোবারক হাতে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয় বিধায় মাদ্রাসাটির উক্ত নামকরণ করা হয়। মাদ্রাসাটি ০৩/১০/১৯৮৪ ইং সনে অনুমতি প্রাপ্ত হয়। ০১/০১/১৯৮৬ ইং সনে প্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। এবং ০১/০৬/১৯৮৫ ইং সনে এমপিও ভুক্ত হয়ে অদ্যাবধি সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদান, শিক্ষার্থীদের স্বত:স্পুর্ত সাড়া এবং এলাকায় শিক্ষানুরাগী, রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় তথা বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি প্রাণবস্ত হয়ে উঠেছে।
বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি প্রবল প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদের চোখ অতি দ্রুত আধুনিকায়নের দিকে অগ্রসর হতে হবে। শিক্ষা সেবা পৌঁছে দিতে হবে জনগণের দোরগোড়ায়। তার আলোকে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর তার আওতাধীন সকল অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধিদপ্তরের/বোর্ডের যাবতীয় কার্যাদি সমাধানে বিশাল প্রযুক্তির ব্যবহার ইতোমধ্যে সফলভাবে শুরু করেছে। এ কার্যক্রম ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন অবশ্যই সার্থক ও ফলপ্রসু হবে।
এ মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।